রেকর্ডসংখ্যক সেনা প্রহরায় পাকিস্তানের ১১তম সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতায় কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে কোয়েটা শহরে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৩১ জনের প্রানহানি হয়। এ হামলায় ২০ জনের বেশি মানুষ আহত হন। শহরের ইস্টার্ন বাইপাস এলাকার ‘স্পর্শকাতর’ নির্বাচনী আসন হিসেবে বিবেচিত এনএ-২৬০ এর তামির-ই-নাউ মডেল স্কুলের সামনে এ হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণের পর সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে সকালে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সোয়াবি এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত হয় একজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
বেলুচিস্তানে একটি ভোটকেন্দ্রে গ্রেনেড হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া মিরপুরখাস জেলার দিঘরি এলাকায় সহিংসতায় আরো একজনের প্রাণহানি হয়।
এবারের নির্বাচনে ৮৫ হাজার কেন্দ্রে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে তিন লাখ ৭১ হাজার ৩৮৮ জন সেনা। সেনা ও পুলিশ, হোমগার্ড মিলিয়ে মোট নিরাপত্তারক্ষী সাড়ে সাত লাখ। অতীতে কোনো সাধারণ নির্বাচনে এত সেনা মোতায়েন করা হয়নি। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।