বাংলালিংকের গ্রাহকরা কথা বলার জন্যে তাদের মোবাইল ফোনটি আগের তুলনায় অনেক কম ব্যবহার করছেন। তবে ডেটা ব্যবহার আগের চেয়ে ঢের বেড়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৬ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে গ্রাহক প্রতি গড়ে মাসে সবচেয়ে বেশী ৩২২ মিনিটে মতো কথা বলেছেন। আর তখন অপারেটরটর যতোজন ইন্টারনেট গ্রাহক ছিলেন তারা গড়ে ২৫৪ মেগাবাইট করে ডেটা ব্যবহার করতেন।

তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে কথা বলার হার। আর বেড়েছে ডেটা ব্যবহারের হার।

এভাবে চলতে চলতে সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে গ্রাহক প্রতি গড়ে মাসে কথা বলার সময় দাঁড়িয়েছে ২৭২ মিনিট। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা গ্রাহক প্রতি ডেটা ব্যবহার হচ্ছে মাসে ৬০০ মেগাবাইট করে।

গ্রাহকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের এই ধারায় কিন্তু অপারেটরটির গ্রাহক প্রতি আয়ও বেশ কমেছে। ২০১৬ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বাংলালিংক যেখানে গ্রাহক প্রতি মাসে ১৩৩ টাকা আয় পেয়েছে। জানুয়ারি-মার্চে সেটা নেমে এসেছে মাত্র ১০৯ টাকায়।

এই পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে বলছেন, মোবাইল ফোন অপারেটররা। তারা বলছেন, মূলত ডেটার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ না করার কারণে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে তারা এমন মূল্যে ডেটা বিক্রি করছেন যে তাতে তাদের স্পেকট্রামের মূল্যেই উঠছে না।

আর এ কারণে অপারেটররা এখন কথা বলার মতো ইন্টারনেট ডেটারও সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here