দেশে ফোরজি চালুর তিন মাস পূর্তির আগেই রবি’র ফোরজি সাইটের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মোট সাইটের সংখ্যার চেয়েও অপারেটরটি অনেক এগিয়ে।
তবে দ্বিতীয় গ্রাহক সেরা মোবাইল ফোন অপারেটরটির ফোরজি কাভারেজ অনেক বাড়লেও, সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্ট গ্রাহকরা।
চতুর্থ প্রজন্মের এ সেবার ব্যবহারও খুব একটা বাড়েনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফোরজি সাইটের সংখ্যা পাঁচ হাজারের মাইলফলক অতিক্রম উপলক্ষে নিজেদের কার্যালয়ে সোমবার এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করে রবি।
দুই সপ্তাহ আগে অপারেটরটি ফোরজি গ্রাহকের সংখ্যা ১০ লাখ পেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে সর্বশেষ ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা জানায়নি তারা।
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের তাদের দিকে আকৃষ্ট করার কৌশল নিয়েছে অপারেটরটি। এর মাধ্যমে এখনই ব্যবসা না বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকরা তাদের সেবাকেই বেছে নেবেন।
অনুষ্ঠানে রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মেহদাত আল হুসেইনিসহ প্রযুক্তি টিমের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচ হাজার সাইটে ফোরজি সেবা দেওয়ার মাধ্যমে রবি সারা দেশের প্রায় সাড়ে চারশ’ থানায় তাদের দ্রুতগতির সেবা ছড়িয়ে দিতে পেরেছে বলে দাবি অপারেটরটির।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন চারটি অপারেটরকে ফোরজি লাইসেন্স দেওয়ার পর দিন রবি সারা দেশে এক যোগে সেবাটি চালুর ঘোষণা দেয়।
বর্তমানে রবি’র সব ধরনের সাইটের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার।
ওই একদিনই লাইসেন্স পাওয়া গ্রামীণফোন বলছে, তাদের মোট ১৪ হাজার সাইটের মধ্যে এক হাজার ছয়শ’র কিছু বেশি সাইটে শুধু তারা ফোরজি সেবা চালু করতে পেরেছেন। তারপরেও তাদের ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে বেশ আগেই।
বাংলালিংক বলছে, আগামি জুনের মধ্যে তারা দেশের ৩০ শতাংশ এলাকায় ফোরজি সেবা চালু করতে পারবে। বর্তমানে তাদের ১০ হাজার সাইটের মধ্যে এক হাজার আটশটিতে শুধু দ্রুতগতির এই ইন্টারনেট সেবা আছে।
এরপরও তাদের ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা পাঁচ লাখের কিছু বেশি।
লাইসেন্স পাওয়া অপর অপারেটর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক। তারা এখনও ফোরজি সেবা চালুর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেনি।