নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আদালতে আজ বুধবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহামুদুল কবীর নতুন এ দিন ধার্য করেন। এদিন আসামি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি। অপর আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে চার্জ শুনানির জন্য সময় আবেদন করা হয়।
কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে চার্জ শুনানি করতে বললে ওই আসামি পক্ষ আদালতের কাছে কিছু ডকুমেন্ট চেয়ে আবেদন করেন। তবে আদালত ওই বিষয়ে কোন আদেশ না দিয়ে আবেদনটি শুধু নথিভুক্ত করায় আইনজীবীরা এ কারণে উচ্চ আদালতে যাবেন মর্মে চার্জ শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিলের দিন ধার্য করেন।
মামলায় এর মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম এবং সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হকও আসামি।
২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর একই আদালতে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলায় ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম হাইকোর্ট থেকে জামিন পান খালেদা।