আমাদের বেশিরভাগই কেনাকাটা করতে অনেক ভালোবাসেন। কেউ কেউ আবার সপ্তাহে দু’একদিন শপিংয়ে না গেলে শান্তি পান না। সেখানে গিয়ে নিজের পছন্দমতো জিনিসগুলো ট্রায়াল রুমে চেক করে তবেই কেনেন। আজকাল আমাদের দেশের বড় বড় শপিংমলগুলোতে এই ট্রায়াল রুমের ব্যবস্থা আছে। ট্রায়াল রুমে চেক করে জিনিস কেনাটা দোষের কিছু নেই। তবে সামান্য একটু অসতর্কতা আপনার জীবনে বিপদের কারণ হতে পারে।
কারণ ট্রায়াল রুমে লুকিয়ে রাখা গোপন ক্যামেরায় কখন নারীদের আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও তোলা হচ্ছে তার টের পাওয়া যায় না! এর ফলে নিজের অজান্তেই নারীদের নানা অপরাধের শিকার হতে হয়।
ট্রায়াল রুমে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখার ঘটনার খবর অনেকবার প্রকাশ্যেও এসেছে। কিন্তু কী করে বুঝবেন ট্রায়াল রুমে কোনো ক্যামেরা গোপনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না? আসুন জেনে নেওয়া যাক- ট্রায়াল রুমের গোপন ক্যামেরার হদিস পাওয়ার উপায়-
• প্রথমে ট্রায়াল রুমে বা বাথরুমে লাগানো কাঁচ ভালো করে পরীক্ষা করুন। কাঁচের উপর একটি আঙুল রেখে দেখুন। যদি দেখেন কাঁচের উপর রাখা আঙুল আর আয়নায় দেখতে পাওয়া আঙুলের প্রতিফলনের মধ্যে সামান্য দূরত্ব রয়েছে, তাহলে বুঝবেন সব ঠিক আছে। কিন্তু যদি আয়নার উপর রাখা আঙুল আর তার প্রতিফলনের মধ্যে কোনো দূরত্ব না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এ ক্ষেত্রে কোনো কারসাজি নিশ্চয়ই আছে! কেউ হয়তো আয়নার পিছনে ক্যামেরা লুকিয়ে রেখেছে!
• ট্রায়াল রুমে ঢুকে সব লাইট বন্ধ করে দিয়ে চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন। ঘরের মধ্যে কোথাও লাল বা সবুজ আলোর বিন্দু দেখা গেলে বুঝবেন যে সেখানে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
• আজকাল এমন অনেক ক্যামেরা পাওয়া যায় যা হ্যাঙ্গার, বোতাম, চশমা, পেন, হুক, জুতো, বেল্টের মধ্যে অনায়াসে লুকিয়ে রাখা যায়। চোখেও পড়ে না। তাই ট্রায়াল রুমে ঢুকে ভালো করে চারপাশের জিনিসগুলো খতিয়ে দেখে নিন। অনাবশ্যক কোনো জিনিসপত্র সেখানে থাকলে সতর্ক থাকুন।
• আজকাল বাজারে এমন স্মার্টফোন বা ক্যামেরা পাওয়া যাচ্ছে যা অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করে আপনা থেকেই অন হয়ে যায়। কিন্তু এই ফোন বা ডিভাইসটি অন হওয়ার সময়ও একটি আওয়াজ শোনা যায়। অনেক সময় কোনো আওয়াজ না হয়ে ভাইব্রেশনও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন, সতর্ক থাকুন। তা হলে অনায়াসেই বিপদ এড়িয়ে চলতে পারবেন।