মান্টা রিসোর্ট আফ্রিকার পেম্বা দ্বীপে। মূলত এই পেম্বা দ্বীপ সম্পূর্ণটাই ব্যক্তি মালিকাধীন। আর এই দ্বীপজুড়েই তৈরি করা হয়েছে মান্টা রিসোর্ট।

আফ্রিকার যানযিবার অঞ্চলে অবস্থিত ‘মান্টা রিসোর্ট’। অন্যান্য রিসোর্ট থেকে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আপনি যদি এই রিসোর্টে রুম বুক করেন তাহলে আপনাকে যে রুম দেয়া হবে তার অবস্থান ভারতীয় মহাসাগরে। এই রুম সাগরের মধ্যে ভাসমান আর এই রুমের শোবার ঘর পানির নিচে। যারা সমুদ্রের আশপাশে তাদের ছুটির সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য এই রিসোর্ট খুবই উপযোগী। কেননা এতে আপনি শুধু সমুদ্রের আশপাশেই নয়, একদম সমুদ্রের মধ্যে ভাসমান ঘরে থাকতে পারবেন। যখন চাইবেন সমুদ্রে গোসল করবেন আবার যখন চাইবেন আপনার রুমের উপরে গিয়ে সূর্যের রোদও উপভোগ করতে পারবেন।

অন্য সব রিসোর্ট থেকে যে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন তা আর বলে বোঝানো লাগবে না। আপনাকে যে রুম দেয়া হবে তাতে মূলত তিনটি তলা থাকবে। ছাদ, ড্রইং রুম এবং মাস্টার বেড রুম। আর এই মাস্টার বেড রুম আবার পানির নিচে। আর এতে আছে বেশ কয়েকটি জানালা যা দিয়ে উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের নিচের দৃশ্য।

এই দ্বীপের চারপাশে নীল পানির সামুদ্রিক সৌন্দর্য ছাড়াও সামুদ্রিক পানির নিচে প্রচুর পরিমাণে প্রবালপ্রাচীর থাকার কারণে এখানে সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে, যা অনেক পর্যটকের জন্য বিশেষ আকর্ষণের কারণ, বিশেষ করে যারা পানির নিচের জগত দেখতে আগ্রহী। এই মান্টা রিসোর্টের স্থাপনা যে শুধু পানির মধ্যে তা নয়, দ্বীপের মধ্যেও এদের নিজস্ব বিল্ডিং রয়েছে কিন্তু বিশেষ ব্যবস্থায় এরা চালু করে পানির মধ্যে ভাসমান এই রুমগুলোর। ভাসমান এই রুমগুলো স্থল অংশ থেকে ৮২০ ফুট দূরে সমুদ্রের মধ্যে ভাসমান। ভাবছেন পানির সঙ্গে ভেসে যেতে পারেন! না তা সম্ভব নয়, কেননা এই ভাসমান রুমগুলো আবার সমুদ্রের নিচে দড়ি দিয়ে আটকে দেয়া, যাতে কোনো অতিথি হারিয়ে না যায়।

রাতের বেলা অতিথিরা যাতে সমুদ্রের নিচের জগতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে তার জন্য পানির এই রুমগুলোর সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে লাইট। সবাই বিছানায় শুয়ে শুয়ে বাইরে সাঁতরে বেড়ানো মাছ দেখতে পাবেন। কেমন মজার অনুভূতি তাই না!

মাস্টার বেড রুমের প্রতিটি জানালা দিয়ে ৩৬০ ডিগ্রি কোণ পর্যন্ত সমুদ্রের দৃশ্য আপনি উপভোগ করতে পারবেন। কি, মনে হচ্ছে না একবার ঘুরে আসি? কিন্তু একটু সমস্যা আছে। এই বিশাল আর আলাদা ব্যবস্থার জন্য এই রুমগুলোর ভাড়া কিন্তু গুনতে হবে একটু বেশি।

পকেটের ওজন বেশ কমে যাবে। কিন্তু যে সুন্দর দৃশ্য আর যে অভিজ্ঞতা হবে তার জন্য খরচটা তত বেশি মুখ্য নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here