ইউরোপের সবচেয়ে বিপজ্জনক আগ্নেয়গিরি মাউন্ট এট্না ধীরে ধীরে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন।
তারা হিসেব করে বলছেন, সিসিলি দ্বীপের ওপর এই আগ্নেয়গিরি বছরে ১৪ মিলিমিটার করে ভূমধ্যসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ব্রিটেনের ওপেন ইউনিভার্সিটির ভূবিজ্ঞানের গবেষক ড. জন মার্ফি বলছেন, মাউন্ট এট্নার এই সরে যাওয়ার দিকে সতর্কভাবে নজর রাখতে হবে।
কারণ এর ফলে নানা ধরনের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
“আমি বলবো এখন পর্যন্ত এ থেকে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই,” তিনি বলছেন, “তবু এই আগ্নেয়গিরি দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।”
সাধারণ বিবেচনায় বছরে ১৪মি.মি. — কিংবা ১০০ বছরে ১.৪ মিটার — সরে যাওয়া খুব বেশি বলে মনে নাও হতে পারে।
ছবির কপিরাইট Getty Images
Image caption মাউন্ট এট্নার অবস্থান সিসিলির পূর্ব উপকূলে।
কিন্তু ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি, যাদের মধ্যে আগে এধরনের প্রবণতা দেখা গিয়েছে, তাদের কারণে মারাত্মক ভূমিধ্স নানা ধরনের সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন।
ড. জন মার্ফি মাউন্ট এট্না সম্পর্কে গবেষণা চালিয়েছেন প্রায় ৫০ বছর ধরে।
এই গবেষণায় তিনি এই পর্বতের নানা জায়গায় জিপিএস স্টেশন বসিয়েছেন।
সামান্য নড়াচড়া হলেও এই স্টেশনের যন্ত্রে তা ধরা পড়বে।
এসব যন্ত্র থেকে গত ১১ বছরে উপাত্ত থেকেই বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন যে মাউন্ট এট্না এখন দক্ষিণ-পূর্বমুখী হয়ে একটু একটু করে ভূমধ্যসাগরের দিকে সরে যাচ্ছে।