কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: দেশে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হলেও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে ‘সিজারিয়ান ডেলিভারি’র সংখ্যা। মাতৃস্বাস্থ্যে বেশ উন্নতি হলেও কিছু বিষয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবার সবশেষ জরিপ অনুযায়ী মাতৃমৃত্যুর হার লাখে ১শ’ ৯৪ জন। ২০০১ সালে যা ছিলো ৩শ’২২ জন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রসবের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার, মাতৃস্বাস্থ্যের জন্য স্বাভাবিক। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে এ অস্ত্রোপচারের হার সরকারিভাবে ২৩ ভাগ। বেসরকারি হিসেবে প্রায় ৫৫ ভাগ।

এদিকে, বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে – বিডিএইচএস’র ২০১৪-এর তথ্য অনুযায়ী মোট ৩৭ ভাগ মা শিশু প্রসব করে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। এর ১০ জনের মধ্যে ৬ জন-ই জন্ম নেয় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। আর বেসরকারি হাসপাতালে এই হার ৮০ শতাংশ। এভাবেই গড়ে প্রতি বছর ছয় লাখ শিশু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নিচ্ছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমা দেশগুলোতে অস্ত্রোপচারের সংখ্যা কম। অথচ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এর হার বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। তারা মনে করছেন, নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা কমে যাওয়ায় কেবল স্বাস্থ্য ঝুঁকিই নয় সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিকভাবে চাপও বাড়ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র মানদণ্ড ঠিক রেখে সার্বিকভাবে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here