২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল মারা যান কবি বেলাল চৌধুরী। বোহেমিয়ান কবি হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। ষাটের দশকে কাব্যচর্চা শুরু করেন বেলাল চৌধুরী। ১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর জন্ম নেওয়া বেলাল চৌধুরী এপার ও ওপার দুই বাংলাতেই সমানভাবে কবি হিসেবে পরিচিতি পান। বয়স সত্তরের কোঠায় এলে বাসা থেকে বেরোনোর সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেন। বার্ধক্য তাঁকে কাবু করে ফেলে। একসময় বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন, চিকিৎসাধীন থাকেন মৃত্যুর আগপর্যন্ত।
ছোট ছোট জবাবে দেয়া এই সাক্ষাৎকারটি কবি দেন পুরানা পল্টনের বাসায়। ২০১৭ সালের ৮ মে সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন ওবায়েদ আকাশ।
ওবায়েদ আকাশ : আপনার তো বর্ণাঢ্য জীবন, আড্ডায় আড্ডায় জীবন পার করেছেন। আজকাল সেসব মনে পড়ে না?
বেলাল চৌধুরী : হ্যাঁ, মনে পড়ে। তবে মনে পড়লেও এখন আর সেসব ধরে রাখি না।
ওবায়েদ আকাশ : জীবনের উত্তাল সময় কেটেছে কলকাতায়… সেসব মনে পড়ে?
বেলাল চৌধুরী : হ্যাঁ, মনে পড়ে। শক্তি, সুনীল, কমলকুমারের কথা মনে পড়ে।
ওবায়েদ আকাশ : কলকাতায় কি যেতে ইচ্ছা করে?
বেলাল চৌধুরী : হ্যাঁ, তবে সব সময় না। মাঝে মাঝে যেতে ইচ্ছা করে।
ওবায়েদ আকাশ : সারা জীবন আড্ডা আর কবিতাকেন্দ্রিক ছিল আপনার জীবন। এখন লেখেন?
বেলাল চৌধুরী : না এখন লিখি না। তবে লিখতে ইচ্ছা করে।
ওবায়েদ আকাশ : সর্বশেষ কত দিন আগে কবিতা লিখেছেন?
বেলাল চৌধুরী : সেও কমপক্ষে দু-তিন বছর আগে। এখন যেসব লেখা ছাপা হয়, সেগুলো পুরোনো লেখা।
ওবায়েদ আকাশ : এখন কি বই পত্রিকা পড়তে পারেন?
বেলাল চৌধুরী : হ্যাঁ, পারি। মাঝেমধ্যে পড়ি।
ওবায়েদ আকাশ : কবিতা পড়েন এখন?
বেলাল চৌধুরী : হ্যাঁ, তা তো পড়িই। ভালো লাগে।
ওবায়েদ আকাশ : আজকাল কী করতে বেশি ভালো লাগে?
বেলাল চৌধুরী : ঘরে বসে অলস সময় কাটাতে ভালো লাগে।
ওবায়েদ আকাশ : মৃত্যুচিন্তা আসে মাথায়?
বেলাল চৌধুরী : হ্যাঁ, ভীষণভাবে আসে। তবে আগেও মৃত্যুর কথা ভাবতাম। এখনকার মৃত্যুচিন্তা একটু অন্য রকম। মনে হয় অনিবার্য আমি মারা যাব।
ওবায়েদ আকাশ : যৌবনের মৃত্যুচিন্তাটা কেমন ছিল?
বেলাল চৌধুরী : যৌবনে সত্যি বলতে এসব চিন্তা কখনো মাথায়ই আসত না।
ওবায়েদ আকাশ : এখনকার কবিতা সম্পর্কে কিছু বলবেন? কী রকম লিখছে এখনকার তরুণরা?
বেলাল চৌধুরী : এখন যারা লিখছে তারা অনেকে ব্রিলিয়ান্ট। আবার কারো কারো লেখা গড়পড়তা। তবে আমি হতাশ নই।
ওবায়েদ আকাশ : আপনারা যে কবিজীবন কাটিয়েছেন, সেসব কথা আমাদের কাছে রূপকথার মতো। আপনি কলকাতা গিয়ে শ্মশানে ঘর ভাড়া করে কাটিয়েছেন। একদিন মাছ ধরার ট্রলারে চড়ে অজানায় পাড়ি দিয়েছেন। আজকালকার কবিদের কাছে তা ভাবনার বাইরে। এখনকার কবিরা অনেক বেশি সাংসারিক, গোছানো জীবনযাপন করে। তো, এরকম পরিপাটি জীবনযাপন দিয়ে কি কবিতা হয়?
বেলাল চৌধুরী : হ্যাঁ, হয়। কারণ একেকজনের ভাবনা একেক রকম। একেকজন একেক জীবন বেছে নেয়। এই বেছে নেওয়ার পেছনেও একটা চিন্তা কাজ করে। সে অবস্থানে থেকেও তারা ভালো কবিতা লিখতে পারে।
ওবায়েদ আকাশ : আগামীতে আবার কবিতা লিখবেন বলে মনে হয়?
বেলাল চৌধুরী : সেটা বলা যায় না। হয়তো লিখতেও পারি। আবার নাও পারি। তো তুমি কেমন লিখছ? কত দিন হলো তোমার কবিতা পড়ি না।
ওবায়েদ আকাশ : আমি আপনাকে আমার নতুন বইটা দেব। সারাদিন বাসায় বসে থাকেন। কী ধরনের চিন্তা মাথায় আসে?
বেলাল চৌধুরী : বিচিত্র চিন্তা মাথায় আসে। বলে শেষ করা যাবে না।
ওবায়েদ আকাশ : আবার যদি আগের মতো শক্তি-সামর্থ্য পেতেন, কী ধরনের কাজ করতেন?
বেলাল চৌধুরী : শিল্প-সাহিত্য নিয়েই কাজ করতাম।
ওবায়েদ আকাশ : শিল্প-সাহিত্যের কী ধরনের কাজ করতেন?
বেলাল চৌধুরী : আগে যে রকম করেছি। লেখালেখি সম্পাদনা… এই সব।
ওবায়েদ আকাশ : পুরোনো বন্ধুদের মধ্যে কারা কারা দেখা করতে আসে?
বেলাল চৌধুরী : অনেকে আসে, তবে স্পেসিফিক কারো কথা বলা কঠিন।
ওবায়েদ আকাশ : দেশের বর্তমান রাজনীতি নিয়ে ভাবনা আসে?
বেলাল চৌধুরী : না, একদমই না। ঘরের বাইরের কোনো কিছুই আজকাল আমার মধ্যে রেখাপাত করে না। টেলিভিশন দেখি না। পত্রপত্রিকা পড়ি না। হঠাৎ একআধটু পড়ি।
ওবায়েদ আকাশ : বাংলা ভাষায় আপনার প্রিয় কবি কে?
বেলাল চৌধুরী : অনেকেই। মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ… আরো অনেকে।
ওবায়েদ আকাশ : এমন একজনের নাম বলবেন, যিনি একই সঙ্গে আপনার প্রিয় বন্ধু ও প্রিয় কবি।
বেলাল চৌধুরী : কমলকুমার মজুমদার।
ওবায়েদ আকাশ : তিনি তো কথাসাহিত্যিক…
বেলাল চৌধুরী : ও কবিতাও লিখত।
ওবায়েদ আকাশ : কমলকুমার কেন এত প্রিয়?
বেলাল চৌধুরী : তার লেখার স্টাইল। তার পাণ্ডিত্য। তার বন্ধুত্বের কারণে।
ওবায়েদ আকাশ : তিরিশের দশকে, ওই পাঁচ কবির বাইরে আর কোনো প্রিয় কবি কি ছিলেন আপনার?
বেলাল চৌধুরী : না, কেউ না।
ওবায়েদ আকাশ : পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে কে প্রিয় ছিলেন?
বেলাল চৌধুরী : নিঃসন্দেহে জীবনানন্দ দাশ।
ওবায়েদ আকাশ : আর চল্লিশে এসে কে বেশি নাড়া দিল?
বেলাল চৌধুরী : অমিয় চক্রবর্তী।
ওবায়েদ আকাশ : আর পঞ্চাশে, এই বাংলাদেশে?
বেলাল চৌধুরী : অনেকে, শামসুর রাহমানসহ অনেকে।
ওবায়েদ আকাশ : তার পরে এসে?
বেলাল চৌধুরী : এই তো তোমরা। তরুণরা।
ওবায়েদ আকাশ : আমাদের জন্য কী বলবেন, এই যে আমরা যারা লেখালেখি করি?
বেলাল চৌধুরী : এটা আমার খুব ভালো লাগে যে, তোমরা কয়েকজন এখন খুব সিরিয়াসলি লিখছো। আর এর ভেতর থেকেই ভালো লেখা বের হচ্ছে। এই তোমরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তোমাদের দিকেই তাকিয়ে আছি আমরা, তাকিয়ে থাকি। তরুণদের কাছে আমার অনেক উচ্চাশা। তরুণরা যেন আমাদের সেই আশা পূরণ করতে পারে। এটাই তোমাদের উদ্দেশে বলা।
ওবায়েদ আকাশ : আপনার কি মনে হয়, এখন যারা লিখছে, তারা সঠিক পথে হাঁটছে?
বেলাল চৌধুরী : হয়তো।
ওবায়েদ আকাশ : কবিতা বারবার বাঁক বদল করে। বদলায়। এই বদলটা আসলে কিসের ওপর ভিত্তি করে হয়? সামনে কি কোনো আদর্শ থাকে? আপনার বেলায় বদলটা কীভাবে ঘটেছিল?
বেলাল চৌধুরী : না, কবিতা কোনো আদর্শকে সামনে ধরে বদলায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তার অনেক বদল হয়। সেই চিন্তা থেকে কবিরাও বদলায়। কবিতার ভাষা কাউকে সামনে রেখে, তাকে অনুকরণ, অনুসরণ করে বদলায় না। এটা আসে কবির ভেতর থেকে। পরিবর্তিত ভাষাটা কবি তার নিজের ভেতর থেকেই অর্জন করেন। সেটা তার দেখা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে হয়।
ওবায়েদ আকাশ : অর্ধশতাব্দীরও বেশি আপনার কবিতা চর্চার বয়স। আপনি অনেকগুলো দশক কবিতার সঙ্গে পারি দিয়েছেন। কবিতা বারবার বদলেছে। বলবেন যে তিরিশ পরবর্তী কোন দশকে এসে কবিতার পরিবর্তনটা আপনাকে বেশি করে নাড়া দিয়েছে?
বেলাল চৌধুরী : কবিতা সব দশকেই কিছু না কিছু বদলেছে। তবে যদি নির্দিষ্ট করে বলতে হয়, তবে বলবো যে, পঞ্চাশ থেকে ষাট এই সময়ের পরিবর্তনটা সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য। পরিবর্তনটা ঠিক তখনই ঘটে যখন দেখা যায়, মানুষ নানাভাবে তার নিজেকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তোমার কী মনে হয়? (একটু মুখ টিপে হেসে)
ওবায়েদ আকাশ : আজ আপনার কথা শুনতে এসেছি। হা হা হা। আর একটি কথা, বাঙালি একের পর এক আন্দোলন সংগ্রামে রক্ত ঝরিয়ে অধিকার আদায় করেছে গত শতকের শেষ দশক পর্যন্ত। তারপর পোশাকি হলেও এক ধরনের গণতন্ত্র চর্চার কথা বলা হচ্ছে। যে জন্য কবিতায় স্লোগান এসেছে, আবার নীরব বিশুদ্ধ কবিতাও লেখা হচ্ছে। এই দুটো ধারা সম্পর্কে আপনার বক্তব্য জানতে চাই।
বেলাল চৌধুরী : শোনো, আমি মনে করি, কবিতা তার নিজস্ব ধারায় চলে। নিজস্ব ধারায় প্রকাশ পায়। নিজস্ব স্বরের বাইরে কবিতা কিছু নয়। কবিতার যা কিছু ঐশ্বর্য তার সব কিছুই তার নিজস্ব।
ওবায়েদ আকাশ : আপনারা একসময় প্রচুর ইংরেজি কবিতা পড়েছেন, বিদেশি সাহিত্য পড়েছেন, অনুবাদ করেছেন, বিদেশি কবি লেখকদের নিয়ে লিখেছেন। সেই নিরিখে জানতে চাই, বাংলা সাহিত্য কি খুবই হতাশার জায়গায় পড়ে আছে, নাকি সম্ভাবনার জায়গাও তৈরি করতে পেরেছে?
বেলাল চৌধুরী : এটা আসলে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। একেক পথে একেকজন হাঁটছে।
ওবায়েদ আকাশ : বলতে পারি, সবাই সঠিক পথে হাঁটছে?
বেলাল চৌধুরী : হয়তো বা।
ওবায়েদ আকাশ : কবিতার ভালোমন্দ নির্ধারণটা কীভাবে হয় বলে মনে করেন?
বেলাল চৌধুরী : এটা আসলে আমিও জানি না। মানুষ হয়তো বলার জন্য বলে যে, এটা ভালো কবিতা, এটা মন্দ কবিতা। আসলে এর কোনো ভিত্তি নাই। কে কখন আদৃত হবে, কে কখন বর্জিত হবে, সেটা বলা যায় না।
ওবায়েদ আকাশ : ওই যে মাত্র যৌবনে, মাছ ধরার ট্রলারে করে দেশান্তরী হলেন। সেই সিদ্ধান্তটা ভুল নাকি সঠিক ছিল?
বেলাল চৌধুরী : সবই ঠিক ছিল। জীবনে যা যা করেছি, সবই সঠিক। আমার জীবন নিয়ে আমার কোনো অনুশোচনা নেই (হেসে)।
ওবায়েদ আকাশ : আপনার সঙ্গে কথা বলে আমার খুব ভালো লাগছে বেলাল ভাই (হেসে)।
বেলাল চৌধুরী : তুমি তো আমার ভাইয়ের মতো (শক্ত করে আমার হাত চেপে ধরে)।
ওবায়েদ আকাশ : আপনি ভীষণ পড়ুয়া আমরা জানি। কোন কোন বই আপনার জীবনে পরিবর্তন এনেছে?
বেলাল চৌধুরী : অনেক অনেক বই। বলে শেষ করা যাবে না। রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দের সব বই। আরো অনেকের অনেক বই।
ওবায়েদ আকাশ : আমাদের কথাসাহিত্য সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
বেলাল চৌধুরী : উচ্চ ধারণা। ভালো কথাসাহিত্য হয়েছে, হচ্ছে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, হাসান আজিজুল হক, মাহমুদুল হক, রিজিয়া রহমান, সেলিনা হোসেনসহ আরো অনেকে ভালো কাজ করেছে, করছে। এসময়ের তরুণরাও অনেক ভালো কাজ করছে।
ওবায়েদ আকাশ : কবিতা বিভিন্ন সময় বদলায় বটে; তবে, কবিতার একটা শাশ্বত স্বর আছে, যাকে আমরা চিরকালীন কবিতা বলি। যাকে আমরা মেইনস্ট্রিমে কবিতাচর্চাও বলি। তো, সাম্প্রতিক সময়ের কবিতাচর্চা কি সেই মেইনস্ট্রিমে হচ্ছে, নাকি বর্তমান কবিরা কবিতার শাশ্বত স্বর ধরতে পারছে না?
বেলাল চৌধুরী : না না। কবিতা মেইনস্ট্রিমেই আছে, শাশ্বত স্বরে তারাও কবিতা লিখছে। তারা মূল সুরটা ধরতে পারছে। তবে সকলে নয়। খুব কমসংখ্যক।
ওবায়েদ আকাশ : জীবনানন্দ দাশসহ অন্যরা ইউরোপীয় ধারায় কবিতা লিখেছেন, এখন আমরাও তাই লিখছি। আমরা কি সঠিক কাজটিই করেছি, নাকি ওখান থেকে বের হওয়া উচিত ছিল?
বেলাল চৌধুরী : ওখান থেকে বের হওয়া উচিত ছিল। বের হয়ে নিজস্ব ধারায় কবিতাচর্চা করা উচিত ছিল। নিজস্বতা মানুষের ভিতরেই থাকে।
ওবায়েদ আকাশ : এখন কি আপনার মনে হয় না, আবার তরুণ বয়সে ফিরে যাই, আড্ডায় মাতি, কবিতার নেতৃত্ব দেই, কবির মতো বাঁচি?
বেলাল চৌধুরী : হ্যাঁ তা মনে হয়, তবে কবিতায় নেতৃত্বের ব্যাপারটা কখনো আমার মাথায় আসে না। এটা আমি অপছন্দ করি।
ওবায়েদ আকাশ : অনেক লেখকের লেখায় কবি বেলাল চৌধুরী কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন। ব্যাপারটা কি জানেন?
বেলাল চৌধুরী : জানলেও ভাবি না।
ওবায়েদ আকাশ : হাংরি আন্দোলন করতে গিয়ে কে বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছিল?
বেলাল চৌধুরী : শক্তি চট্টোপাধ্যায়, তুষার রায়।
ওবায়েদ আকাশ : বাংলাদেশে কি একটা হাংরি আন্দোলনের দরকার ছিল?
বেলাল চৌধুরী : কোনো দরকার ছিল না।
ওবায়েদ আকাশ : পশ্চিমবঙ্গে কি ওই সময়ের হাংরি আন্দোলন অনিবার্য ছিল?
বেলাল চৌধুরী : হয়তো। তবে না হলেও কিছু হতো না।
ওবায়েদ আকাশ : এখন হাংরি আন্দোলনের দরকার নেই। তাহলে এখন আসলে কবিতার জন্য কী দরকার?
বেলাল চৌধুরী : কবিতার পরিবর্তন। কবিতার ভাষার পরিবর্তন।
ওবায়েদ আকাশ : সেটা কি হচ্ছে না?
বেলাল চৌধুরী : হচ্ছে। কবিতার নানা পরিবর্তন আসছে, কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ নাই। কবিরা তা যথার্থ উপস্থাপন করতে পারছে না।
ওবায়েদ আকাশ : আপনি কতটা আশাবাদী?
বেলাল চৌধুরী : অনেক বেশি আশাবাদী।
ওবায়েদ আকাশ : কর্মজীবনে অনেক পেশা পরিবর্তন করেছেন। কবির জন্য ভালো পেশা কোনটি?
বেলাল চৌধুরী : কবির জন্য কোনো পেশাই ভালো নয়। কবি সব পেশায়ই কাজ করতে পারেন। তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। তিনি নিজের মতো করে পেশাটাকে মানিয়ে নেবেন।