কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার। জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ জানুয়ারি, নাটোরের আলাইপুরে। পেশায় চিকিৎসক। উচ্চতর শিক্ষা নিয়েছেন স্বাস্থ্য অর্থনীতিতে। পেশা জীবনের বাইরে সাহিত্য চর্চাকেই ধ্যান-জ্ঞান মনে করেন তিনি। ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছড়া, কিশোর সাহিত্য, অনুবাদ, সম্পাদনাসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি নিরলসভাবে। ‘কুরসিনামা’ উপন্যাসের জন্য ২০০১ সালে তিনি ‘কাগজ কথাসাহিত্য’ পুরস্কার পান। এছাড়াও তিনি পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর থেকে ‘ঘরোয়া সাহিত্য সম্মাননা-২০০৫’, নাটোর থেকে ‘মহারানী ভবানী সাহিত্য পদক-২০০৮’, ‘বগুড়া লেখকচক্র পুরষ্কার-২০০৯’ ‘মুসলমানমঙ্গল’ উপন্যাসের জন্য ‘চিহ্ন সম্মাননা-২০১১’ এবং ‘পিতৃগণ’ উপন্যাসের জন্য ‘জেমকন সাহিত্য পুরস্কার-২০১২’ লাভ করেছেন। ২০১৪ সালে আকতারুজ্জামান ইলিয়াস পুরস্কার এবং সর্বশেষ কথাসাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’। প্রতিশ্রুতিশীল এই লেখকের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন অঞ্জন আচার্য।
যে বই বারবার পড়ি
নীহাররঞ্জন রায়ের ‘বাঙ্গালীর ইতিহাস (আদি পর্ব)’
যে বই পড়ব বলে রেখে দিয়েছি
দ্বিজেন শর্মার ‘জীবনস্মৃতি : মধুময় পৃথিবীর ধুলি’ (কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত)
যে চলচ্চিত্র দাগ কেটে আছে মনে
জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’, সের্গেই আইজেনস্টাইনের ‘দ্য ব্যাটেলশিপ পটেমকিন’
যে গান গুনগুন করে গাই
‘আমায় নহে গো ভালোবাসো শুধু/ ভালোবাসো মোর গান’
প্রিয় যে কবিতার পঙ্ক্তি মনে পড়ে মাঝে মধ্যে
সৈয়দ শামসুল হকের ‘পরানের গহীন ভিতর’ ও আল মাহমুদের ‘সোনালী কাবিন’-এর কবিতাগুলো
খ্যাতিমান যে মানুষটি আমার বড় প্রিয়
আরজ আলী মাতুব্বর
যে ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না
কামিনী
যা খেতে ভালোবাসি খুব
ভাতের সঙ্গে ডাল-আলু ভর্তা
যা সহ্য করতে পারি না একেবারেই
ভাণ্ডামি, অক্ষমের ঈর্ষা
জীবনে যার কাছে সবচেয়ে বেশি ঋণী
বাবা-মা ও আমার বাঁশি দা
যেমন নারী আমার পছন্দ
যে নারীকে দেখলে বাংলার আবহমান নারীত্বের রূপ দেখা যায়
যেখানে যেতে ইচ্ছে করে
চলনবিলের গ্রাম বেড়াবাড়িতে
যেভাবে সময় কাটাতে সবচেয়ে ভালো লাগে
দিবাস্বপ্ন দেখে
যে স্বপ্নটি দেখে আসছি দীর্ঘদিন ধরে
একটি মানবিক সমাজ
যে কারণে আমি লিখি
না লিখে পারি না বলে-
নিজের যে বইটির প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে
মুসলমানমঙ্গল
ভালোবাসা মানে আমার কাছে…
ভালোবাসা
আমার চোখে আমার ভুল
যে আমাকে ঠকায়, পরে সেই তাকেই আবার বিশ্বাস করা
জীবনে যা এখনো হয়নি পাওয়া
অসংখ্য বই পড়া, ছবি দেখা, গান শোনা, ভ্রমণ করা বাকি রয়ে গেছে
যে স্মৃতি এখনো চোখে ভাসে
ছাত্র শিবিরের হাতে নিহত সহপাঠী জামিল আখতারের লাশ
[১৯৮৮ সালের ৩১ মে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জামিল আখতার রতনকে প্রকাশ্যে রগ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে শিবির সন্ত্রাসীরা]
যা হতে চেয়েছিলাম, পারিনি
কিছুই হতে চাইনি
জীবনের এ-প্রান্তে এসে যতটা সফল মনে হয় নিজেকে
গন্তব্য যেহেতু নেই, তাই সাফল্যের হিসাবও নেই
কোনটা ভালো লাগে— পাহাড় নাকি সমুদ্র?
পাহাড়
কোনটা বেশি টানে— বর্ষার বৃষ্টি নাকি শরতের নীল আকাশ?
বর্ষার বৃষ্টি