ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকারের ওপর ‘স্যার যদুনাথ সরকার : জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল জাতীয় জাদুঘর। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী।
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের জেনারেল এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে যাঁরা ইতিহাস লিখে থাকেন, তা বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়; কিন্তু স্যার যদুনাথ সরকার খুব সহজ ভাষায় ইতিহাস লিখেছিলেন। তিনি শুধু মোগল ইতিহাস লিখেননি, তিনি ইতিহাসকে পুনর্গঠন করেছিলেন।’ এ সময় রিজভী আক্ষেপ করে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে স্যার যদুনাথ সরকারের ওপর ও তাঁর কাজের ওপর যতটা গবেষণা করার দরকার ছিল, ততটুকু করা হচ্ছে না।’
অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান বলেন, ‘স্যার যদুনাথ সরকার গবেষণা করেন মধ্যযুগের ওপর। তিনিই প্রথম এই কাজে হাত দেন। কারণ, এর আগে এ বিষয়ে কোনো ধরনের গবেষণা ছিল না বললেই চলে। এ গবেষণার তথ্য পাওয়া সহজলভ্য ছিল না।’
প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাস্তবতা বলতে গিয়ে জাহান বলেন, সে সময় ধর্মের ওপর ভিত্তি করে সমাজ গঠিত হয়ে থাকত। সে কারণে এ যুগগুলোকে পাল যুগ, সেন যুগ নামে ভাগ করা হয়েছে। ইতিহাসে সুলতানি যুগের তথ্যসূত্র পাওয়া না যাওয়ার কারণে এ সময়কে অন্ধকার যুগ বলে অভিহিত করেন স্যার যদুনাথ সরকার, যা মানুষ ভুল বিশ্লেষণও করে থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।