শিল্পকলা একাডেমিতে একসাথে উদযাপিত হলো ইরানি নববর্ষ নওরোজ ও বাংলাদেশের বাংলা নববর্ষ। গান, কবিতা ও আলোচনায় উভয় দেশের নববর্ষ উদযাপনকে অনন্য করে তোলে শিল্পীরা। যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও শিল্পকলা একাডেমি।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ও আবহমান সংস্কৃতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন দুই দেশের শিল্পী ও বক্তারা। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল আলোচনা ও শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড, মোহাম্মদ আবুল কালাম সরকার। একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক বদরুল আনাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা বরেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সিলর সাইয়্যেদ মূসা হোসেইনী।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. গওহর রিজভী বলেন, ইরানের নববর্ষ নওরোজের দিনটি দারুণ আনন্দের। এটি পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো এক উৎসব। ধর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলেও এটি মূলত অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা বহন করে। ইরানের পাশাপাশি এশিয়ার অনেক দেশেই প্রচলিত রয়েছে এই উৎসব।
এ সময় তিনি স্মৃতিচারণা করে বলেন, এটা বাংলাদেশে কোনো নতুন জিনিস নয়। এটি ৫০০ বছর ধরে ঢাকায় উদযাপিত হচ্ছে। আমাদের এখানে নওরোজ উদযাপনের মূল কারণটি হচ্ছে আমরা ইন্দো-পার্সিয়ান সভ্যতার অংশ। সে কারণেই পারস্যের প্রভাব আমাদের ভাষা-সাহিত্য ও জীবনযাপনে নানাভাবে বিরাজমান। এমনকি বাংলা সাহিত্যের ভেতরে রয়েছে অনেক ফারসি শব্দের ব্যবহার। বিশেষ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ফারসি শব্দের প্রয়োগে অসংখ্য গান-কবিতা সৃষ্টি করেছেন।
এরপরে অনুষ্ঠিত বাংলা এবং ফারসি ভাষার গান-কবিতায় সাজানো ছিল সাংস্কৃতিক পর্বটি।
গান ও কবিতার যুগলবন্দি পরিবেশনা করে ঢাকাস্থ ইরানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিশু শিল্পীরা।