আজ কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী। চলচ্চিত্র পরিচালনা ছাড়াও তিনি একাধারে ছিলেন লেখক, চিত্রনাট্যকার, গ্রাফিক শিল্পী এবং সঙ্গীত সুরকার। চার দশকের ক্যারিয়ারে ৩২ বার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। গোল্ডেন লায়ন, গোল্ডেন বিয়ার, সিলভার বিয়ার ছাড়াও ১৯৯২ সালে সম্মানসূচক একাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয় করেন তিনি।

একই বছর ভারতরত্ন পুরস্কারেও ভূষিত হন সত্যজিৎ রায়। আর এই অর্জনগুলো তিনি করতে পেরেছেন তাঁর কিছু সেরা চলচ্চিত্রের জন্য। চলুন বলিউড লাইফ ডটকমের সৌজন্যে জেনে নিই সত্যজিৎ রায়ের তিনটি সেরা চলচ্চিত্র সম্পর্কে যা প্রমাণ করে চলচ্চিত্র জগতে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব।

সতরঞ্জ কি খিলাড়ি

সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্রের নাম ‘সতরঞ্জ কি খিলাড়ি’। মুন্সি প্রেমচাঁদের ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল ছবিটি। ১৮৫৬ সালের পটভূমিতে নির্মিত হয় ‘সতরঞ্জ কি খিলাড়ি’। যেখানে দুজন অর্থশালী ব্যক্তির দাবা খেলার প্রতি আসক্তি এবং ভারতের আওয়াধ অঞ্চল ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যকার টানাপড়েন বর্ণনা করা হয়েছিল। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সঞ্জীব কুমার, সাইদ জাফরি, শাবানা আজমি, ডেভিড আব্রাহাম ও টম অল্টার। ছবিতে বর্ণনাকারীর ভূমিকায় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। অস্কারের জন্য ছবিটিকে ভারত থেকে পাঠানো হলেও পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়নি ছবিটি।

চারুলতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস নষ্টনীড় অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় নির্মাণ করেন ‘চারুলতা’ বা ‘দ্য লোনলি ওয়াইফ’। অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। সামাজিক বেড়াজালের মধ্যে ‘চারুলতা’র এগিয়ে যাওয়াকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছবিতে। মুক্তির পর পরই সেরা পরিচালক এবং সেরা ছবির এই দুটি বিভাগে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে ‘চারুলতা’।

পথের পাঁচালী

দ্বিধাহীনভাবে ভারতের চলচ্চিত্র ইতিহাসে অন্যতম সেরা ছবি ‘পথের পাঁচালী’। দুর্গা ও অপুর বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন উমা দাসগুপ্ত। গ্রামের কঠিন ও রূঢ় জীবনকে ফুটিয়ে তোলা হয় ছবিটিতে। ‘পথের পাঁচালী’ প্রযোজনা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুধু ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বেও ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে ‘পথের পাঁচালী’র। মোট ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে ‘পথের পাঁচালী’। যার মধ্যে অন্যতম ১৯৫৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে অর্জন করা বেস্ট হিউম্যান ডক্যুমেন্ট পুরস্কার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here