এখন থেকে ১২৫ বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর হাইস্কুল ক্রিকেট খেলায় ঢাকার দু’টি স্কুলকে পরাজিত করে। বিক্রমপুর নামে একটি পত্রিকা খেলার খবরটি যেভাবে করেছিল তা নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো :

বিক্রমপুর-১৩০১ সন, ১২ই মাঘ।

‘‘মালখাঁনগর এন্ট্রান্স স্কুলের সঙ্গে বিগত ২৯শে পৌষ শনিবার ইম্পিরিয়াল সেমিনারী এবং ১লা মাঘ সোমবার পোগোজ স্কুলের ক্রিকেট খেলা হইয়া গিয়াছে।

খেলার স্থান পুরান পল্টন ক্রীড়াভূমি। দর্শক ছাত্র শিক্ষকে প্রায় ৬০০/৭০০ লোক উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেক স্কুলের শিক্ষকগণও ছাত্রদের সঙ্গে খেলায় যোগদান করিয়া তাহাদেগকে উৎসাহিত করিয়াছিলেন। প্রথম দিবস সূর্য্যাস্ত পর্যন্ত খেলা হয়; মালখাঁনগর স্কুলের দল ২২

ওভার খেলিয়া ৪৯ দৌড় এবং ইম্পিরিয়াল স্কুলের দল ২০ ওভারে ৪৬ দৌড় করিয়াছিল। পুনরায় মালখাঁনগরের দল খেলিতে যাইয়া মাত্র ৭ জন আউট হয় এবং ৪৫ দৌড় করে। ইম্পিরিয়াল সেমিনারির জনৈক খেলোয়াড় বল করিয়া বিশেষ কৃতকার্য হইয়াছিলেন।

সোমবারের খেলাও বিশেষ খেলোয়াড় বল করিয়া বিশেষ কৃতকার্য হইয়াছিলেন। সোমবারের খেলাও বিশেষ আড়ম্বরের সহিতই হয়। গোগোজ স্কুল ছুটি হইয়াছিলেন ছাত্র শিক্ষকে প্রায় ৩০০/৪০০ লোক খেলার জায়গায় উপস্থিত ছিলেন। এই দিবস মালখাঁনগর স্কুলের দল ২০

ওভার খেলিয়া ২৭ দৌড় এবং পোগোজ স্কুলের দল ২৪ ওভার খেলিয়া ২৫ দৌড় করিয়াছিল। উভয় দিবসইি মালখাঁনগর স্কুলের দল সহরের দুইটি প্রধান স্কুলের সঙ্গে খেলায় জয় লাভ করিয়াছে। মালখাঁনগরের একটি বালক দুই দিনেই পিছনের বল সুন্দরূপে ধরিয়া বিশেষ প্রশংসা পাইয়াছিল।

ক্রীড়া ভুমিতে মালখাঁনগর খেলোয়াড় দলের ফটোগ্রাফ উঠান হইয়াছে। ঢাকার ইন্সপেক্টর বাবু দীননাথ সেন মহাশয়ের শিক্ষক সমিতির অনুমোদিত মন্তব্যানুযায়ী ক্রীড়া আরদ্ধ হইতে দেখিয়া সুখী হইলাম।’’ এই খেলায় পোপোজ স্কুলের রসিক রায় (কাপ্তেন) সত্যকুমার দত্ত (পরে ঢাকা

গেজেটের এডিটার) মাষ্টার, প্রমদা বসু; ইম্পরিয়াল সেমিনরীর সুখদা বসু; মালখাঁনগরের নীলকান্ত বসু, ভূপতি বসু, নৃপতি বসু ইত্যাদি (যশোদা বসু আম্পায়ার) পরবর্তীতে অনেকেই ঢাকায় নানাবিধ খেলায় পারদর্শিতা দেখাইয়া সুপরিচিতি হইয়াছিলেন।

ক্রমে টেঘরিয়া, শেখরনগর ইত্যাদি মফঃস্বলের স্কুল ঢাকায় আসিয়া খেলা করে’’।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here