২০২২ সালের মধ্যে সারা বিশ্ব থেকে এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যাগ নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ৷ কিন্তু এ ঘোষণা কার্যকরের পদক্ষেপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সুপারমার্কেটগুলো পড়েছে মহাবিপদে৷

জাতিসংঘ ২০২২ সালের মধ্যে সারা বিশ্ব থেকে এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যাগ নিশ্চিহ্ন করার যে ঘোষণা দিয়েছে, অন্তত ৬০টি দেশে তা কার্যকর করার চেষ্টা শুরু হয়েছে৷ কুইন্সল্যান্ড, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, সাউদার্ন অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটেল টেরিটরি বা এসিটি এবং নর্দার্ন টেরিটরি – সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার খুব বড় একটা অংশেই সুপারমার্কেটগুলো একযোগে নিষিদ্ধ করেছে এক বার ব্যাবহারোপযোগী প্লাস্টিকের ব্যাগ৷ কিন্তু ক্রেতাদের মাঝে প্রতিক্রিয়াটা হয়েছে ভয়াবহ৷

শপ, ডিস্ট্রিবিউটিভ অ্যান্ড অ্যালায়েড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন তাদের ১৩২ সদস্যের মাঝে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে৷ সেই সমীক্ষা থেকেই বেরিয়ে এসেছে ভয়াবহ চিত্র৷ ১৩২ জনের মধ্যে ৫৭ জন সদস্যই জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের ওই ব্যাগ নিষিদ্ধ করায় তারা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন৷ অনেক জায়গাতেই এতদিন যেই ব্যাগ বিনা পয়সায় দেয়া হতো তা একেবারে নিষিদ্ধ শুনে ক্রেতারা চটে গিয়ে সদ্য কেনা পণ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে সুপারমার্কেটে ফেলে চ্যাচামেচি শুরু করেছেন৷ কোথাও কোথাও ক্ষুব্ধ ক্রেতারা চড়াও হয়েছেন সুপারমার্কেটের কর্মীদের ওপর৷

সেরকমই এক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে দোকানদার এবং পরিবেশকদের সংগঠনের সহকারী সচিব বেন হ্যারি বলেন, ‘‘সেদিন এক পুরুষ ক্রেতা সেল্ফ সার্ভিস এলাকায় গিয়ে এক নারী কর্মীর উদ্দেশ্যে অশোভনভাবে চিৎকার শুরু করেন৷ ওই কর্মী তখন এগিয়ে এসে লোকটিকে সৌজন্য হিসেবে কয়েকটি ব্যাগ দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন৷ তারপর লোকটি ভুল করে একই জিনিস দু’বার স্ক্যান করে ফেলে৷ ভুলটা দেখে ওই নারী কর্মী তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান৷ লোকটি তখন আরো চটে গিয়ে নারী কর্মীর গলা চেপে ধরে৷”

অনেক জায়গায় ক্রেতারা প্রাস্টিকের ব্যাগ না পেয়ে সুপারমার্কেটের কর্মীদের ‘অর্থলোভী’ বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, কোথাও কোথাও অশ্রাব্য গালাগালও করছেন তারা৷ কেউ কেউ আবার আগের ব্যবহার করা ব্যাগে বমি, ময়লা-আবর্জনা ভরে এনে ছুড়ে মারছেন সুপারমার্কেটের কর্মীদের দিকে৷-এএফপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here